স্বদেশ ডেস্ক: আবারও নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণ ও কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি থেকে ককটেল ছুড়ে মারা হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানা যায়, কর্মসূচি শেষে করে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনের সড়কে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এর আগে অফিসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ভাঙচুর চালায় ছাত্রদলের আন্দোলনরত নেতারা।
ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির বলেন, ‘ভেতরে যারা আছেন তারা চেয়ার, টেবিল, সিসি ক্যামেরা এগুলো ভেঙেছে। আমরা যখন ভেতরে প্রবেশ করতে যাই, তখন ভেতরে যারা ছিল তারা কাপ, পিরিচ ছুড়ে মেরেছে। এতে আমাদের একজন আহত হয়েছেন। এ সময় এই নেতা তার হাত দেখিয়ে বলেন, ‘এই যে দেখেন আমার হাতেও লেগেছে। ’
পরে আন্দোলনকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বয়সসীমা তুলে দিয়ে পুনঃতফসিল না হলে কাউন্সিল হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আগামীকালের মধ্যে দাবি আদায় না হলে পরের দিন অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটলে তার জন্য সিন্ডিকেট দায়ী থাকবে। আমরা ঘোষিত তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিলের দাবি জানাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিল কীভাবে হবে। আজ আমরা এখানে এসেছি তারা সবাই আমাদের লোক না। এখানে ২০০০ পরবর্তীরা (এসএসসি পরীক্ষার ব্যাচ) আছে, তারাও শঙ্কিত। পুনঃতফসিল না হলে কাউন্সিল হতে দেওয়া হবে না। ’
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা আমাদেরই ছোট ভাই, আমরা আশা করব, সিনিয়র নেতারা যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা মেনে নিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে।’
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবারও কর্মসূচি শেষে নয়াপল্টন এলাকায় ৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।